সন্ত্রাস বিরোধী আন্দলনে সকলের সহযোগিতা চায় রাবাব ফাতিমা
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমাদের আন্তর্জাতিক সংহতি ও সব স্তরে একতাবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাসবাদ একটি বড় হুমকি এবং এটি ২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডা অর্জনের ক্ষেত্রে অন্তরায়।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমন কৌশলের উচ্চ পর্যায়ের প্লেনারি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার (১৩ মার্চ) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমন কৌশল বাস্তবায়নে কভিড-১৯ এর প্রভাব বিষয়ক মহাসচিবের প্রতিবেদনটিকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এক্ষেত্রে কভিড-১৯ অতিমারির সময়ে সৃষ্ট ইনফোডেমিক, ঘৃণাত্মক বক্তব্য ও জাতিগত বিদ্বেষের মতো সন্ত্রাসবাদের নব্য ধারার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার ওপর জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ সদস্য দেশসমূহের মধ্যে নিবিড় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সৃষ্টি ও পারস্পরিক আইনি সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অটল রাষ্ট্রীয় নীতি রয়েছে।
জাতিসংঘের বৈশ্বিক সন্ত্রাস দমন কৌশলের বাস্তবায়ন এগিয়ে নিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধ ও নির্মূল করতে সদস্য দেশসমূহকে প্রয়োজনীয় সব প্রচেষ্টা গ্রহণ করা উচিত মর্মে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া কৌশলটির বাস্তবায়নে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলো সক্ষমতা বিনির্মাণ ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে জাতিসংঘ থেকে যথোপযুক্ত সহায়তা পাবে।
উল্লেখ্য, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সদস্য দেশসমূহকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে জাতিসংঘ বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমন কৌশল গ্রহণ করে। বর্তমানে কৌশলটির ৭ম দ্বিবার্ষিক রিভিউ চলমান রয়েছে, যা ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ হবে।
"We need international solidarity and concerted efforts at all levels to fight terrorism," said Rabab Fatima, Bangladesh's Permanent Representative to the United Nations. He said terrorism was a major threat to international peace and security and that it was important for achieving the 2030 development agenda.
He was speaking at a high-level plenary meeting on global counter-terrorism strategy at the UN General Assembly. A statement from the UN Permanent Mission to Bangladesh said on Saturday (March 13th)
Ambassador Fatima welcomed the Secretary-General's report on the impact of Covid-19 on the implementation of the UN Global Counter-Terrorism Strategy. In this regard, Covid-19 stressed the need to pay special attention to the new trend of terrorism such as infodemic, hate speech, and racial hatred created during the transition period.
Calling for closer international cooperation and mutual legal assistance among UN member states to ensure accountability for terrorist activities, Ambassador Fatima said Bangladesh has a firm state policy against terrorism.
He noted that member states should make all necessary efforts to prevent and eliminate terrorist financing to advance the implementation of the UN Global Counter-Terrorism Strategy. It is also important to increase the capacity to implement the strategy.
He hoped that in the fight against terrorism, Bangladesh and other developing countries would receive adequate assistance from the United Nations in terms of capacity building and technology.
It is worth mentioning that the United Nations adopted the Global Counter-Terrorism Strategy in 2008 to assist member countries in the fight against terrorism through concerted efforts. The strategy is currently undergoing its 8th biennial review, which will end in June 2021.
0 Comments